মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ১২:২৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ইভ্যালির লকার খোলার নম্বর দিতে রাসেল ও তার স্ত্রীকে নির্দেশ

ইভ্যালির লকার খোলার নম্বর দিতে রাসেল ও তার স্ত্রীকে নির্দেশ

স্বদেশ ডেস্ক:

কারাগারে থাকা মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে ইভ্যালির ধানমন্ডির অফিসের লকারগুলোর ‘কম্বিনেশন নম্বর’ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ জন্য আদালতের নিযুক্ত ইভ্যালির নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা তার মনোনীত প্রতিনিধিকে কারাগারে এই দম্পতির সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থা করতে আইজি প্রিজন্সকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের কোম্পানি কোর্ট আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির স্থানীয় সার্ভারের তথ্য উদ্ধারে আদালত নিযুক্ত পরিচালনা পর্ষদকে সহযোগিতা করতে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইভ্যালির নাম দেশজুড়ে আলোচিত-সমালোচিত। প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইতিমধ্যে ইভ্যালির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তাঁর স্ত্রী ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে তারা কারাগারে আছেন।

আদালতের আজকের আদেশের বিষয়টি জানিয়ে ইভ্যালির পরিচালনা পর্ষদের আইনজীবী মোরশেদ আহমেদ খান বলেন, ইতিমধ্যে নতুন বোর্ড দায়িত্ব গ্রহণ করে কার্যক্রম শুরু করেছে। কার্যক্রমের বর্ণনার পাশাপাশি এ ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা আছে, তা উল্লেখ করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ওই আদেশ দেন।

এর আগে গত মে মাসে ইভ্যালিতে ইলেকট্রনিকস পণ্য অর্ডারের পর অর্থ পরিশোধ করে পণ্য ও টাকা না পেয়ে কোম্পানিটির অবসায়ন চেয়ে ফরহাদ হোসেন নামের এক গ্রাহক গত ২২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে আবেদন করেন। এর ধারাবাহিকতায় গত ১৮ অক্টোবর আদালত ইভ্যালি দেখভাল করতে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে চেয়ারম্যান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেন। ইভ্যালির নতুন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান, পরিচালনা পর্ষদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, খেলাপি পরিচালনা পর্ষদ/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা/সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং নিয়ন্ত্রক, কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয়ের প্রতি আলাদা করে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

হাইকোর্ট পরিচালনা পর্ষদের কাছে অর্থ ফেরতের জন্য ছয় মাস জোর না করতে গ্রাহক বা পাওনাদারদের প্রতি নির্দেশ দেন। তাদের সমস্যা নিয়ে ইভ্যালির প্রধান কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে বলা হয়। নতুন বোর্ডের কার্যক্রমের অগ্রগতি জানাতে বলে আদালত আদেশের জন্য ২৩ নভেম্বর দিন রাখেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি ওঠে।

আদালতে বোর্ডের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোরশেদ আহমেদ খান। আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এ এম মাছুম ও সৈয়দ মাহসিব হোসেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও প্রতিযোগিতা কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তাপস কান্তি বল।

আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন বলেন, ইভ্যালি অবসায়ন চেয়ে ফরহাদ হোসেনের করা আবেদনে পক্ষভুক্ত হতে ৩০ জন ইভ্যালির গ্রাহক আবেদন করেন। আদালত তা গ্রহণ করেননি।

তবে আবেদনকারী ৩০ গ্রাহকের আইনজীবী মো. হুমায়ন কবির বলেন, তারা ইভ্যালির কাছে ১ কোটি ৯১ লাখ টাকা পাবেন। তাই ওই আবেদন পক্ষভুক্ত হতে চেয়েছিলেন। আদালত বলেছেন, নতুন বোর্ডের কাছে আবেদন করেন। আদালতের আগের আদেশ অনুসারে ছয় মাস অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। এই সময়ের পরে সমাধান না হলে তারা আদালতে আসতে পারবেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877